Choose your product from the mega showcase from thousands of sellers
BD Trade Blogs
> Blogs > আবিষ্কারের কাহিনী > আলোর গতি আবিষ্কার

আলোর গতি আবিষ্কার


সারাহ জেবীন

সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে প্রায় ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ডের মতো সময় লাগে। আলোর গতি অনেক, কিন্তু অসীম নয়। সূর্যের মতো অগনিত নক্ষত্র রয়েছে এ মহাবিশ্বে। রাতের আকাশে তাকালেই আমরা তা সহজেই বুঝতে পারি। এমন একটা নক্ষত্র যদি এতো দূরে কোথাও থাকে যে তার থেকে আলো আসতে আসতেই সেই নক্ষত্রটা তার আলো দেওয়া বন্ধ করে ব্ল্যাকহোলে পরিণত হয়েছে। তাহলে আমরা সেই নক্ষত্রটা যখন দেখছি তখন নক্ষত্রটা আর নেই। অথচ আমরা তাকে দেখতে পাচ্ছি ঠিকই। এ আলোর গতির ওপর নির্ভর করছে আমরা কোন বস্তুকে কখন কীভাবে দেখব। আলোর গতি জিনিসটা যে বিজ্ঞানী প্রথমবার আবিষ্কার করেছিলেন তার নাম ওলে রয়মার। তিনি ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে ১৬৪৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি আধুনিক থার্মোমিটারের আবিষ্কারক। শুধু তাই নয়, তার বানানো রয়মার স্কেলকে আরেকটু উন্নত করে ড্যানিয়েল গ্যাব্রিয়েল ফারেনহাইট বানিয়েছিলেন ফারেনহাইট স্কেল। কোনো জটিল হিসাব-নিকাশে না গিয়ে শুধু আলোর গতি বের করার গল্পটা এরকম-  আমরা জানি পৃথিবী তার নিজ অক্ষের ওপর প্রায় ২৪ ঘণ্টায় একবার ঘুরে আসে। এ জন্য ২৪ ঘণ্টায় দিন-রাত হয়। পৃথিবীর কক্ষপথ দেখতে কেমন, কেন এমন নিউটন পর্যবেক্ষণ করে সেরা সেরা কিছু সূত্র দিয়ে দিলেন। নিউটনের হিসাব অনুযায়ী, বৃহস্পতি গ্রহের চাঁদগুলো বৃহস্পতিকে কেন্দ্র করে ঘোরার অমুক সময়ে পৃথিবী থেকে চাঁদগুলোকে অমুক জায়গায় দেখা যাবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, ঘটনা সেভাবে ঘটছে না। কখনো সময়ের ৮ মিনিট আগেই চলে আসে, আবার কখনো ৮ মিনিট পরে আসে। এ বিষেয়ে এগিয়ে এলেন ডেনমার্কের জ্যোতির্বিদ ওলে রয়মার। তিনি ১৬৭৬ সালে অদ্ভুত একটা দাবি করলেন। যেখানে ঘটনাটা ঘটে, সেখান থেকে পৃথিবীতে ঘটনাটা পৌঁছাতে একটু সময় লাগে। কতটুকু দূরে থাকলে কতটুকু সময় লাগে, সেই হিসাব থেকে তিনি তখনকার যুগের সবার চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো আবিষ্কার করলেন। আলো জিনিসটার গতি অসীম নয়, তারও একটা গতি আছে। আর সেই গতিটা হলো সেকেন্ডে ৩ লাখ কিলোমিটার। 


বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি >> আবিষ্কারের কাহিনী