হে মোর জননী হে মোর দরদি
বলিব আর কত হায়।
তোমার কথা স্মরিতে আমার
পরান যে ফেটে যায়।
নিরলে বসিয়ে বিভোর হইয়ে
যখন ভাবি তোমার কথা।
লিখিতে না পারি কাগজ উপরি
প্রাণে যে বড় ব্যথা ।।
শ্যাল দিয়ে মাগো তোমার প্রাণেতে
বিদেশে করেছি বাসা।
কিন্তু মাগো কি করিব হায়
প্রাণে যে বড় আশা !
আইএ পড়িব, বিএ তে পড়িব
এমএ তে পড়িব আরো।
আমার জন্য ভগবানের কাছে
মানত করিও মাগো।।
তোমার স্নেহের বর্ণনা দিতে
যাহা পড়ে মোর মনে।
ভাষায় লিখিয়ে প্রকাশ করেতে
এ অধম কেমনে পারে ।।
বিদেশেতে গেলে দেবালয় গিয়ে
মানত করিতে তুমি।
বাছাধন মোর সুখে থাকে যেন
হে মোর অন্তর্যামী।।
চোখের আড়াল করনি মোরে
আমিও তাহাই জানি।
সজল নয়নে ব্যস্ত হইয়ে
বলিতে ডাকিয়া আনি।
তুই বাছা মোর নাহনের মনি
অন্তরের অন্তর।
বেদনায় আমি ব্যথীত হইয়ে
তাই তোরে ডাকি সত্ত্বর।।
গভীর রাত্রে অওয়াজ পেয়ে
চমকিয়া উঠি আমি।
মনে হয় মাগো খাবার হাতে তে
অপেক্ষা করিছ তুমি ৷৷
তোমার কথাই চিন্তিয়ে মাগো
পাগলের মত হই উদাসী।
মায়ের মায়া বুঝিবে সেই নর
যে হয়েছে বিদেশী ।।
করজোড়ে আমি তোমার চরনে
মিনতি জানাই মাগো।
অপরাধ যদি করে থাকি কোনো
ক্ষমা এখন করো।
তোমার ঐ স্নেহমাখা মুখখানি
স্বপনে আমি দেখিতে পাই।
তোমার ঐ মায়া তোমার ঐ স্নেহ
জীবনে কভু ভুলি নাই ।।